স্বদেশ ডেস্ক:
শেরপুরে নালিতাবাড়ী সীমান্তে নাকুগাঁও স্থল-শুল্ক বন্দরে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের কেবল জিজ্ঞাসাবাদেই চলছে করেনাভাইরাস পরীক্ষা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নাকুগাঁও স্থল-শুল্ক বন্দরে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল টিম গঠন কাজ করলেও সেখানে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ভারত থেকে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার ছাড়া শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করেই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
বন্দর সূত্রগুলো জানায়, করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য থার্মাল স্ক্যানারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় নাকুগাঁও স্থল-শুল্ক বন্দর দিয়ে আগত যাত্রীদের শুধুমাত্র জ্বর, সর্দি কিংবা গলাব্যথা আছে কিনা, এমন প্রশ্ন করেই ছেড়ে দিচ্ছে মেডিকেল টিম। কিন্তু সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সকল ইমিগ্রেশন বন্দরগুলোতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য থার্মাল স্ক্যানারসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার কথা রয়েছে। নাকুগাঁও স্থল-শুল্ক বন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে ভারত থেকে বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ৩৫-৪০ জন লোক যাতায়াত করে।
সম্প্রতি চীন থেকে করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এ ভাইরাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সে হিসেবে বাংলাদেশের সকল বন্দরগুলোতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএন্ডএফপিও) ডা. রেহমা সারওয়াত সালাম বলেন, নাকুগাঁও স্থল-শুল্ক বন্দরে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের লক্ষণযুক্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। আমাদের মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
বন্দরে থার্মাল স্ক্যানার না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘থার্মাল স্ক্যানার না থাকলেও ভারত থেকে আসা যাত্রীদের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ছাড়া হচ্ছে। কোনো রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া গেলে তাকে সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে জেলা হাসপাতালে স্থাপিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
ইতোমধ্যে জেলা হাসপাতালে করোনা ভাইরাসের রোগীর চিকিৎসার জন্য ১০ বেডের একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
গত ২৯ জানুয়ারি থেকে নাকুগাঁও স্থল-শুল্ক বন্দরে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম কাজ করছে। সূত্র : ইউএনবি।